কোন শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী নিপিড়নের প্রমাণ পাওয়া গেলে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন- মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর একেএম সাইফ উল্যাহ। রবিবার দুপুরে ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, সারাদেশের মাদরাসা পরিচালনা কমিটিতে যে নৈরাজ্য চলছে তা দূর করার এখনি মোক্ষম সময়। মেধাবী ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যাকান্ডের মধ্যে দিয়ে সেটি আরো সুস্পষ্ট হলো। ভবিষ্যতে মাদরাসা পরিচালনা কমিটিতে কোন অশিক্ষিত অযোগ্য লোকের ঠাঁই হবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
একেএম সাইফ উল্যাহ বলেন, আমরা ইতোমধ্যে সারাদেশে ৫ সদস্য বিশিষ্ট যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি গঠনের কাজ শুরু করেছি। সিরাজ উদ দৌলার মতো এ চরিত্রের শিক্ষকদের ব্যপারেও আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি।
তিনি আরো বলেন নুসরাতের উপর বর্বরতার ঘটনায় অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা ও ইংরেজি শিক্ষক আবছার উদ্দিনের এমপিও স্থগিত করা হয়েছে।
এসময় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী সলিমুল্লাহ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.নূরুল আমিন, পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব নূরুল আফছার ফারুকী ও মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা মো. হোসাইন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়ের দায়ে ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে আটক করে পুলিশ। পরে ৬ এপ্রিল ওই মাদরাসা কেন্দ্রের সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগিরা তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। টানা ৫ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে মারা যায় নুসরাত জাহান রাফি।
এ ঘটনা তার বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামালা দায়ের করেন। মামলার এজহারভূক্ত ৮ আসামীসহ এখন পর্যন্ত ২১জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও পিবিআই।
সম্পাদনা: আরএইচ/এনজেটি