ফেনীতে মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্যদিয়ে নতুন বছরকে বরণ করা হয়েছে। রবিবার সকালে ফেনী সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে শোভাযাত্রাটি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ মিনার চত্তরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেয় হাজার হাজার মানুষ।
শোভাযাত্রায় ঢাকঢোল বাদ্যের সুর, কাগজ ও কর্কশীটের তৈরি দোয়েল পাখি, বক, নৌকা, জাল, টেপা, পুতুল ও মা-শিশুসহ নববর্ষের সাজে বেরিয়েছে কিশোর-কিশোরীর দল। ফানুসিয়ানা আয়োজকরা রাঙিয়েছে শহরের পিচঢালা পথ। ঢাকের তালে আবহমান বাংলার সংস্কৃতির সংযোজন ছিল শোভাযাত্রায়। শোভাযাত্রায় বিভিন্ন বয়সী মানুষের বাহারি পোশাকের শোভা পায়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামান। সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নুরেরজ্জামান ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সুলতানা রাজিয়ার সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন ফেনী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বিকম, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খালেদ হোসেন, নবাগত সিভিল সার্জন ডা. মো. নিয়াতুজজামান, জেলা জজকোর্টের পিপি হাফেজ আহম্মদ, জিপি প্রিয়রঞ্জন দত্ত, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার মীর আবদুল হান্নান প্রমূখ। আলোচনা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, কবি-সাহিত্যিক, সাংবাদিক বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, সামজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতবৃন্দসহ সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
পরে পরে শহরের রাজাঝির দিঘীর পাড়ে পাঁচদিন ব্যাপী বৈশাখী মেলা উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামান। মেলায় বাহারী জিনিসপত্রের ৩০টি দোকান রয়েছে। এছাড়াও শহরের মহিপাল সরকারী কলেজসহ বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় আয়োজন করা হয় উৎসবের। শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও নানা আয়োজন উৎসব চলবে দিনব্যাপী।
সম্পাদনা: আরএইচ/এনজেটি