ফেনীর ফুলগাজীতে আরো ৭ ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বন্দুয়া দৌলতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ফের এ ঘটনায় ২ দিন স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেছে কৃর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন অভিভাবকরা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো রবিউল হক মজুমদার জানান, মঙ্গলবার সকালে জাতীয় সঙ্গীত পাঠ শেষে শ্রেণি কক্ষে প্রবেশ করতে একে-একে নবম শ্রেণির হনুফা আক্তার ও সৃষ্টি আক্তার, অষ্টম শ্রেনির নুসরাত ইয়াসমিন, সাজেদা আক্তার, সুলতানা আফরা, বিবি কুলসুম, ফারহানা আক্তার অজ্ঞান হয়ে মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে। পরে শিক্ষক ও সহপাঠিরা তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার ও বুধবার স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেন বলে তিনি জানান।
নাছিমা আক্তার নামে এক অভিভাবক জানান, তাঁর মেয়ে নারগিস সুলতানার ওই স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। সোমবার (১৮ মার্চ) স্কুলে একটু মাথা ঘুরালেও বিকেলে বাড়িতে এসে অঞ্জান হয়ে। পরে তিনি হাসপাতালে নিয়ে যান চিকিৎসা দিচ্ছেন। এখন তিনিও মেয়ের পড়াশোনা নিয়ে শঙ্কিত।
ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. শরফুদ্দিন মাহমুদ জানান, ‘ম্যাস হিস্টিরিয়া’ নামে একটি রোগ রয়েছে। এ ধরনেররোগ হলে বিশেষ করে ছাত্রীরা হঠাৎ করে মাথা ঘুরে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। মানসিক ও আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এ ধরনের রোগ হতে পারে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে ওই শিক্ষার্থীদের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তাদের সার্বক্ষণিক তদারকির রাখা হয়েছে।
এর আগে সোমবার সকালে ওই স্কুলে শিক্ষার্থীরা জাতীয় সঙ্গীত পড়ে শ্রেণি কক্ষে প্রবেশ করতে ৮ ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. এনামুল হক।
সম্পাদনা: আরএইচ/এনজেটি