কবি ও সাংবাদিক মাহবুব আলতমাস আর নেই। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর উত্তরায় নিজ বাসায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিঊন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৭৫ বছর।
কবি মাহবুব আলতমাস ১৯৪৩ সালে ফেনী সোনাগাজী উপজেলার মঙ্গলকান্দি ইউনিয়নের সেনেরখিল গ্রামের মাষ্টার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬১ সালে ঐতিহ্যবাহী মঙ্গলকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ে ম্যাট্টিক, ফেনী সরকারি কলেজে আইএসসি ও চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে বিএসসি পাশ করেন। শিক্ষকতার মাধ্যমে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়। সোনাগাজীর মতিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে একবছর ও মঙ্গলকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ে একবছর শিক্ষকতা করেন।
এরপর পাকিস্থান আমলে স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা জুট ট্রেডিং কর্পোরেশনে পাট ক্রয় কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন ১৪ বছর। পরে বাংলাদেশ জুট মিলস কর্পোরেশনে কাজ করেন ৫ বছর। এরপর বেসরকারি সংস্থা সানম্যান গ্রুপ ও প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সে ৪ বছর কাজ করার পর চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে আমদানী ব্যবসা করেন।
কলেজ জীবন থেকে শখের বসে লেখালেখি শুরু করেন। তিনি গল্প, প্রবন্ধ, নিবন্ধ, ফিচার ও কলাম লেখক হিসেবে সু-পরিচিত। বর্তমানে তার প্রায় ১৫টি বই বাজারে আছে। দুইটি উপন্যাস ‘প্রজাপতি রঙিন দিন’ ও ‘অন্তরাল’ ও একটি ছোট্ট গল্পের বই ‘মলিবুর স্বপ্নের ঠিকানা’ ও ৫টি কবিতার বই ‘দক্ষিনে বন্দনা করি বঙ্গমা সাগর’, ‘কবিতা লাল টুকটুকে বউ’, ‘বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও আমার কবিতা’, ‘দশ আঙ্গুলে কবিতা’ ও ‘সেদিনে পৌঁছতে চাই’। আরো বেশ কয়েকটি পান্ডুলিপি প্রস্তুত আছে।
তিনি দৈনিক ফেনীর সময় এর ফিচার এডিটর ও সাপ্তাহিক আলোকিত ফেনীর সহযোগি সম্পাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এছাড়াও তিনি সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ও ফেনী পোয়েট সোসাইটির সভাপতির পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন।
কবি মাহবুব আলতমাস ব্যক্তিগত জীবনে স্ত্রী আফরোজা লিলি, তিন কন্যা ও একপুত্র সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
সম্পাদনা: আরএইচ/এনজেটি