নিজস্ব প্রতিনিধি>>
ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা একরাম হত্যা মামলার রায় আজ ঘোষণার কথা রয়েছে। ১৩ ফেব্রুয়ারী জেলা ও দায়রা জজ আমিনুল হক সকল আসামীর জামিন বাতিল করে রায় ঘোষণার জন্য এ তারিখ ধার্য করেন। মামলারটির রায়কে ঘিরে ফেনীতে নানা হিসেব নিকেশ কষছেন আওয়ামীলীগ ও সাধারণ মানুষ। এ নিয়ে সর্বত্র আলোচনা ও সমালোচনা চলছে জেলা জুড়ে।
ফেনী জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) হাফেজ আহাম্মদ জানান, এ মামলায় ৫৯ জন সাক্ষীর মধ্যে বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৫০ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত ৫৬ জন আসামির মধ্যে ১৬ জন বিচারিক হাকিম আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে হেলাল উদ্দিন নামের একজন পরে রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্য প্রদান করেন। এ ছাড়া মামলার প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীরাও চেয়ারম্যান একরামুল হকের গাড়ির গতিরোধ, গুলি করে, কুপিয়ে ও গাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত ৫৬ জন আসামির মধ্যে বর্তমানে ১৪ জন কারাগারে ও ২৪ জন জামিনে ছিলেন। ১৩ ফেব্রুয়ারী আদালত সকল আসামীর জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণ করেন। মামলার শুরু থেকে ১০ জন পলাতক রয়েছেন এবং জামিনে গিয়ে আরও ৭ জন পলাতক হয়েছেন। এ ছাড়া জামিনে থাকা মো. সোহেল ওরফে রুটি সোহেল নামের একজন আসামি ইতিমধ্যে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছেন।
উল্লেখ্য: ২০১৪ সালের ২০ মে ফেনী শহরের একাডেমি এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একরামুল হককে গাড়ির গতিরোধ করে কুপিয়ে, গুলি করে ও গাড়িসহ পুড়িয়ে হত্যা করেন আসামিরা। এ ঘটনায় চেয়ারম্যান একরামুল হকের ভাই রেজাউল হক জসিম বাদী হয়ে বিএনপি নেতা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ওরফে মিনার চৌধুরীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করে ফেনী সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
সম্পাদনা: আরএইচ/এনকে