নৌকার জন্য কাজ করছি; রোকেয়া প্রাচীর জন্য নয় • নতুন ফেনীনতুন ফেনী নৌকার জন্য কাজ করছি; রোকেয়া প্রাচীর জন্য নয় • নতুন ফেনী
 ফেনী |
১৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নৌকার জন্য কাজ করছি; রোকেয়া প্রাচীর জন্য নয়

রাশেদুল হাসানরাশেদুল হাসান
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৫:০১ অপরাহ্ণ, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭

রোকেয়া প্রাচী। বাংলাদেশের অভিনয় অঙ্গনে পরিচিত মুখ। দীর্ঘ সময় ধরে অভিনয় করে যাচ্ছেন বাংলা চলচ্চিত্র ও নাটকে। বাংলাদেশ টেলিভিশনে ‘জয় পরাজয়’ নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে টিভি নাটকে যাত্রা শুরু হয়। চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে ১৯৯৭ সালে ‘দুখাই’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরুপ একাধিকবার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। আমন্ত্রিত হয়েছেন ফরাসি সরকারের আমন্ত্রণে বিশ্বের মর্যাদাপূর্ণ চলচ্চিত্র আসর ‘কান’ উৎসবে। ২০০২ সালে ‘মাটির ময়না’ চলচ্চিত্রর পক্ষ থেকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন এবং ‘কান’ উৎসবের উদ্বোধনী ঘোষণা করেন। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ আ’লীগের অঙ্গসংগঠন মহিলা আ’লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন প্রাচী। নিজ এলাকা ফেনী-৩ আসন (সোনাগাজী-দাগনভূঞা) থেকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন রোকেয়া প্রাচী। এরই মধ্যে তিনি এলাকায় জনসংযোগ ও প্রচারণা শুরু করছেন। সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে অভিনয় জীবন, রাজনৈতিক জীবন, ব্যক্তিজীবনসহ নানান বিষয়ে। নতুন ফেনী’র পক্ষে রোকেয়া প্রাচীর মুখোমুখি হয়েছেন- শাহাদাত হোসেন তৌহিদ

নতুন ফেনী: অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী; কিন্ত রাজনৈতিক অঙ্গনে কখন-কিভাবে এলেন?
রোকেয়া প্রাচী: আমি অভিনয় করি ছোটবেলা থেকে, আর রাজনীতিতে সক্রিয় হই পারিবারিকভাবে। পারিবারিক আবহেই আমার রাজনৈতিক জীবন শুরু। আমি তো আওয়ামীলীগ পরিবার থেকেই বেড়ে উঠেছি। আমাদের বাড়িতে আ’লীগের মিছিল-মিটিং হতো। বাবা আ’লীগের কর্মী ছিলেন। আমি যখন অভিনয় করছি তখনও রাজনীতি করছি। আমি যখন নির্মাতা হিসেবে কাজ করেছি রাজনীতি করছি, রাজনীতির কথাই বলেছি। মুক্তিযুদ্ধের কথাই বলেছি। রাউন্ড টেবিল, সভা-সমিতি কিংবা সেমিনার করেছি সেখানেও নিজেকে রাজনৈতিক কর্মীর পরিচয় দিয়েছি। আমি মানববন্ধন-সমাবেশ করেছি, যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবি জানিয়ে রাজপথে নেমেছি। বিএনপি-জামায়াতেরঅপরাজনীতির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি।অপরাধের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি। বিএনপি যখন মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে অবস্থান নেয় তখন আমি জনমত তৈরিতে কাজ করেছি। কুষ্টিয়া, দিনাজপুর, জামালপুর, বগুড়া, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রামসহ দেশের সকল তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়েছি। বিএনপি-জামাতের আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সারাদেশে তৃণমূলকে নিয়ে আন্দোলন করেছি। বক্তব্য দিয়েছি, সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। শ্রমজীবি মানুষদের নিয়ে কাজ করেছি, হিজড়াদের নিয়ে কাজ করেছি, হরিজন সম্প্রদায়ের সাথে কাজ করেছি। সে নব্বইয়ের দশকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে যে আন্দোলন হয়েছে; সেখানে আমি কাজ করেছি, তারও আগে এরশাদ বিরোধী মুভমেন্টে কাজ করেছি। এটা কি রাজনীতি নয়? এগুলো তো রাজনীতিরই অংশ। তবে কখনো কখনো কারো মনে হতে পারে রাজনৈতিক কর্মকা- বুঝি শুধু মানুষ যখন কোন একটা পথ পদ্ধতি পায় তখন সামনে চলে আসে। আসলে আমাদের মতো যারা সচেতন, যারা এক্টিভিস্ট হিসেবে কাজ করেন, সভা সমিতি-সেমিনার-লেখালেখি ও সচেতনামূলক কাজ করে থাকেন। তাদের অনেকেই এসব কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে রাজনীতি করে থাকেন। রাজনীতি মানে এই নয় যে, সবাই মিছিল মিটিং আর সমাবেশ করবে।

নতুন ফেনী: কিন্তু রাজনীতিতে পুরোপুরি সক্রিয় হলেন কখন?
রোকেয়া প্রাচী: সেই প্রশ্ন যদি করেন আমাকে বলতে হবে যে, আমার জন্মের পর থেকে আমি রাজনীতি করি। যেহেতু আমার বাবা পলিটিক্স করতেন এবং আ’লীগেরই পলিটিক্স করতেন। আমাদের বাড়িতে আ’লীগের সভা-সমিতির বিভিন্ন কর্মকা- হত। মিটিং হতো। আমার মনে আছে, তখন ড. কামাল হোসেন নির্বাচন করতে মিরপুরের পল্লবী থেকে দাঁড়ালেন তখন আমার বাড়ি থেকে এসব কর্মকা- হয়েছে। ওই নির্বাচনী প্রচার প্রচারণার আওয়ামীলীগের কর্মকাণ্ডের জায়গা ছিলো আমাদের বাড়ি। কিংবা যখন কোনো মিছিল মিটিং হতো আমাদের বাড়িতেই হতো। এইসব দেখে বেড়ে ওঠা আমার। ১৯৭৫ সালে যখন বঙ্গবন্ধু শহীদ হন সে সময় আমার বাবা শ্রমিক লীগের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। কাজেই, আমাদের বাড়িতে সবসময়ই রাজনৈতিক কর্মকা- চলতো। এসময় বিএনপির জামাতের অপরাজনীতির বিরুদ্ধে মিছিল মিটিং আমাদের বাড়িতেই হয়েছে। সুতরাং বলতে হয়, তখন থেকে রাজনীতিতে আমার সক্রিয়তা। আমি ঢাকার পল্লবীতে বড় হলেও দাদার বাড়ি সোনাগাজী চরচান্দিয়া গ্রামে হাজী আবদুল কুদ্দুস পিলানের বাড়ি, আমাদের বাড়িতে তিনজন মুক্তিযোদ্ধা। আমার বাবা, আমার দুই চাচা। আমাদের বাড়ি মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি হিসেবেই পরিচিত। আর সক্রিয়তা বলতে আমি যেটা বুঝি কেউ লিখবে কেউ মিছিল মিটিং করবে, টেলিভিশনে বলবে, কেউ সভা-সমাবেশ সেমিনার করবে-এসবের মধ্য দিয়ে তিনি রাজনীতি করবেন, সাধারণ মানুষের কথা বলবেন। কিংবা ধরুন, যে অপশক্তির বিরুদ্ধে দাড়াচ্ছে সে কি রাজনীতি করছে না। যারা যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের বিরুদ্ধে কথা বলছে তারা কি রাজনীতি করছেনা। বস্তুত, আমাদের মত এক্টিভিস্টরা সে কাজগুলোই করছে।

নতুন ফেনী: আওয়ামী রাজনীতিতে কেন?
রোকেয়া প্রাচী: ওই যে বললাম, আমার জন্ম আ’লীগ পরিবারে। আমার পরিবারের সবাই আ’লীগের কর্মী, আমি অভিনয় করি আমি নির্মাণ করি আমার বিষয়বস্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে। আ’লীগ একটি প্রগতিশীল দল। যেমন আমি কিছুদিন আগে ‘তালিকা’ নামে একটি নাটক বানিয়েছি। যে সকল রাজাকার-যুদ্ধাপরাধী মুক্তিযুদ্ধের নাম নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় ঢুকে গিয়েছে আমি তাদের চিহিৃত করার চেষ্টা করেছি নাটকের মাধ্যমে। সারা বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানার্থে একটি বলিষ্ঠ বিষয় নিয়ে আমি নাটকটি বানিয়েছি। টেলিফিল্ম বানিয়েছি। আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে কিছু রাজাকার-যুদ্ধাপরাধী ঢুকে গেছে; নতুন একটি স্বচ্ছ তালিকা করে তাদের বাদ দিতে নাটকটির মাধ্যমে আহবান জানানো হয়েছে। এর চেয়ে বড় রাজনীতি আর কি হতে পারে। কি বলেন?

নতুন ফেনী: একটি অনুষ্ঠানে আপনি বলেছিলেন, নেত্রীর নির্দেশ পেয়ে এলাকায় কাজ করছেন? এর পেছনে মনোনয়ন পাওয়ার কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে কি?
রোকেয়া প্রাচী: শুনেন, আমার যারা মুখে বলি আমরা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, আমরা যারা ভালোবাসি দেশ-ভাষা-সংস্কৃতি মাতৃভূমিকে, আমরা যারা জননেত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত সাহসী সৈনিক। তাহলে আপা যে নির্দেশ দিয়েছেন নৌকার জন্য কাজ করতে, তৃণমূল মানুষের কাছে যেতে, তাদের কাছে আমাদের উন্নয়নের কথা পৌঁছে দিতে, আমাদের ইতিহাস পৌঁছে দিতে; আমাদের কালচার তুলে ধরতে এইসব নির্দেশ সে সকল কর্মীদের জন্য শিরোধার্য হওয়া উচিত যারা নিজেদের আ’লীগের কর্মী দাবি করে। তাদের অক্ষরে অক্ষরে পালন করা উচিত। ফলে আমি কখনো কুমিল্লা, কখনো ফেনী, কখনো রাজশাহী, বান্দরবান দেশের যে প্রান্তেই হোক না কেন সব জায়গাই আমি যাচ্ছি তৃণমূলের কাছে নৌকার উন্নয়নের কথা পৌঁছে দিতে।

তবে আপনি যে প্রশ্ন করলেন এর সাথে মনোনয়নের কোনো উদ্দেশ্য আছে কিনা? আমি যে বাংলাদেশে তৃণমূলে গিয়ে কাজ করি সামাজিক সংগঠনের হয়ে এবং এ কাজগুলো কিন্ত আমি করি হচ্ছে বাংলাদেশে আওয়ামীলীগের জন্য, শেখ হাসিনার নির্দেশে করি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে করি নৌকার বিজয়ের জন্য। আর এলাকার বিষয় হচ্ছে আমি যদি যোগ্য হয়ে উঠি আমার কর্মকা- দেখে যদি নেত্রী মনে করেন যে, আমাকে দায়িত্ব দেবেন সে দায়িত্ব আমি আমৃত্যু পালন করব। আপার নিদের্শ হচ্ছে মাঠ প্রস্তুত করতে। তাই আমি মাঠ প্রস্তুত করছি, সেটা সোনাগাজী-দাগনভূঞা হতে পারে, পরশুরাম-ফুলগাজী হতে পারে, সেটা কুমিল্লা হতেপারে, বাক্ষণবাড়িয়া হতে পারে, সেটা নরসিংদী হতে পারে, যে কোনো জায়গায় তৃণমূল পর্যায়ে যদি আমার ভূমিকা রাখার সুযোগ থাকে তাহলে আমি রাখব।

হ্যাঁ, এলাকার বিষয় নিয়ে আমি অবশ্যই নির্বাচনে আগ্রহী। এটা আমার এলাকা, সে কারণে আমাকে যদি নেত্রী যোগ্য মনে করেন আমি সে দায়িত্ব পালন করব। আর যদি নেত্রী মনে করেন আমার চেয়ে যোগ্য কাউকে কিংবা নেত্রী যাকে মনোনয়ন দিতে চান আমি তার জন্য কাজ করব। কারণ, আমার উদ্দেশ্য তো রোকেয়া প্রাচীর জন্য নৌকা নয়, নৌকার জন্য রোকেয়া প্রাচী। রোকেয়া প্রাচীর কাজ হচ্ছে নৌকার জন্য মাটি তৈরি করা যে মাটিতে নৌকার বীজ বপণ করা সম্ভব। কাজেই আমি মাটিটা প্রস্তুত করছি সেটা নৌকার জন্য; রোকেয়া প্রাচীর জন্য নয়। এই মাটিতে যদি নেত্রী আমাকে বলেন যে, এই চারাগাছ তোমার; তখন আমি কাজ করবো। নেত্রী যদি অন্য কাউকে দেন তাও করবো। নেত্রী যাকে দেন, নেত্রীর নির্দেশ শিরোধার্য, আমার কাজ হচ্ছে নেত্রীর জন্য মাটি প্রস্তুত করা সে মাটিতে নেত্রী যাকে ইচ্ছে তাকে দেবেন। সর্বোপরি, নৌকার বিজয়ের জন্য কাজ করছি, নেত্রীর জন্য কাজ করছি।

নতুন ফেনী: তাহলে থেকে মনোনয়ন আশা করা যায়?
রোকেয়া প্রাচী: আমি যে এলাকায় আমার সুযোগ আসে আমি ছুটে যাই নৌকার জন্য কাজ করতে। এবং নৌকার বিজয়ে সবাইকে মিলেমিশে কাজ করতে চেষ্টা করি । আর আমার একটা সামাজিক সংগঠন আছে ‘স্বপ্ন সাজাই’ এর পক্ষ থেকে আমি দেশীয় সংস্কৃতি, ইতিহাস ঐতিহ্য, রাজনীতিক, বিভিন্ন সচেতনমূলক প্রোগ্রাম করছি, এটার ব্যাপ্তি সারা বাংলাদেশে রয়েছে। এই কাজের মধ্য দিয়ে কিন্তু আমি নৌকার প্রচার প্রচারনার কাজ করছি। ‘ডিজিটাল বাাংলাদেশ ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনা’ নামে একটি রাউন্ড টেবিল করেছি জাতীয় প্রেসক্লাবে। সাম্প্রতি সময়ে আপনি জানেন যে, সোনাগাজীর চরদরবেশ, কাজিরহাট স্লুইসগেট, ৯নং ওয়ার্ডে বাজারে তিনটি ছোট ছোট বৈঠকে উপস্থিত ছিলাম। এলাকার মানুষের সুখ-দুঃখের কথা শোনার চেষ্ঠা করছি এবং তাদের দাবি-দাওয়াগুলি জানতে চাইছি। এ ছাড়া মহাজোট সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মকান্ড জনগণের কাছে তুলে ধরেছি এবং ভবিষ্যতেও আ’লীগকে নির্বাচিত করতে কাজ করে যাচ্ছি। শুধু ভোটের জন্য নয়, মনোনয়নের জন্য নয়। অনেকটা সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই এই প্রচারণা। সমাজের পরিবর্তনের জন্যই আমার এই আন্দোলন। নতুন প্রজন্মের শিশু-কিশোরদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগিয়ে তুলতে স্কুল কলেজে গিয়েও কথা বলেছি। এ ছাড়া যুব সমাজকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে সমাজকে বদলে দিতে। আমাদের জাতীয় সংগীতকে শুদ্ধ করে শেখানো, জঙ্গীবাদ-সন্ত্রাস ও মাদককে কী করে না বলতে হয়, এরকম একটি কার্যক্রম শুরু করেছি। এ কার্যক্রমটা কিন্তু অন্যান্য জেলাতেও শুরু হয়েছে। আমার সংগঠন এর নাম ‘স্বপ্ন সাজাই’-এর শ্লোগান হচ্ছে ‘সত্য বলি কাজ করি, মিলেমিশে দেশ গড়ি।’ এ কাজটি আমি শুধু আমার এলাকায় নয়, পর্যায়ক্রমে সারাদেশে করব। এর সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত কোনো চাওয়া পাওয়া বা মনোনয়নের কোন উদ্দেশ্য জড়িত নেই।

নতুন ফেনী: মনোনয়ণ পেলে কি ধরনের পরিকল্পনা রয়েছে?
রোকেয়া প্রাচী: মনোনয় পেলে আমার অনেক পরিকল্পনা রয়েছে যা আমি এখনই বলতে চাইনা। পরে আমি বিশদ আকারে বলব। মনোনয় পেয়ে আমি আসলে প্রতিনিধি হবো কাদের? জনগনের, কাজেই আমার এলাকার মানুষ কি চায় তার চাওয়া পাওয়াটাকে গুরুত্ব দিতে হবে আগে। তবে আমি যাদের প্রতিনিধি হবো তারা কি ভাবছে, তারা কি বলতে চাইছে, তাদের চাওয়া পাওয়াটাকে গুরুত্ব দিতে হবে। পরে এসব আমি লিখিত আকারে আপনাদের বলব।

নতুন ফেনী: অভিনেত্রী, রাজনীতিবিদ এবং সামাজিক কর্মকা- কোন পরিচয়টা আপনার কাছে বড়?
রোকেয়া প্রাচী: আমি মনে করি যিনি কাজ করতে পারেন তিনি সর্বাবস্থায় করতে পারেন। আর আমাদের পাশে তো আইডল আছেন হাজার বছরের অন্যতম শ্রেষ্ট বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুররহমান, তিনি তো আমাদের আইডল। তারপর তাঁর সুযোগ্য কন্যা দেশনেত্রী শেখ হাসিনা আছেন তিনি দেশের উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে। আর যোগ্য লোক সকল কাজকে সুসম্পন্নভাবে করতে পারেন। আমি যখন অভিনয় করি, লেখালেখি করি, রাজনীতি করি, আমি যখন অনেক রাতে এসে আমার এলাকায় ঢুকি। এই যে আমার ব্যস্ততা, গত কয়েকদিন আগে সারাদির আমি রাউন্ড টেবিল করেছি। আমরা যে কাজগুলো করছি এটা দেশের জন্য মানুষের জন্য, রাজনীতির জন্য, গণমানুষের জন্য, আমার জন্য। কাজ করলে অনেক কাজ করা যায়। সুতরাং অভিনয়টা আমার পেশা। আর রাজনীতি আমার আদর্শ। আর সামাজিক কাজকর্ম তো আমাদের রক্তেই রয়েছে। নিজের পৈত্রিক ভিটায় বিভিন্ন অঞ্চলে ছুটে যাচ্ছি এলাকার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করতে।

কাজেই যিনি চুল বাঁধতে পারেন তিনি রাধেনও। অভিনয় করে আমি জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে অনেক সম্মাননা পেয়েছি। অভিনয়টা আমি মন থেকে করি। আর রাজনীতি আমি আমার আদর্শের জায়গা থেকে করি। দু’টোই আমি মন থেকে করি। রাজনীতি আমার দায়িত্বের অংশ, জীবনের অংশ। দু’টোতেই স্বাচ্ছন্দবোধ করি। দু’টোকে আমি ভালোবেসে করি। কাজেই দু’টোকে আলাদা করা যাবে না। যখন অভিনয় করি তখন পুরোপুরিই অভিনয়ে নিজেকে ঢেলে দেয়া চেষ্টা করি। আর যখন রাজনীতি করি তখন শুধুমাত্র আমি রাজনীতিবিদ। মানুষের কল্যাণই আমার পাথেয়।

নতুন ফেনী: নির্মাতা হিসেবে আপনাকে দেখেছি? এখন নির্মানের কি খবর?
রোকেয়া প্রাচী: ‘রোকেয়া প্রাচী পিকচার্স’ নামে আমার তো নিজের নির্মাণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে। নিজে অভিনয় করছি। আমার নিজের প্রোডাকশন কোম্পানী আছে। সেটা গতিতেই আছে। আমি অভিনয় করছি না গত দু’বছর ধরে। কারণ আমার সামাজিক রাজনৈতিক কর্মকা- অনেক বেশি বেড়ে গেছে। আর আমি অভিনয়ের চেয়ে নির্মানের কাজটা একটু বেশি করছি। হাতে দু’তিনটা ফিল্মের কাজ আছে। ভাবলাম, ব্যাক্তি রোকেয়া প্রাচী যদি আপাতত ছবি না করে দেশের জন্য কাজ করে তাহলে হয়তো সতেরো কোটি মানুষের মধ্যে আমি হয়তো আরও একশ’টা রোকেয়া প্রাচী তৈরি করতে পারবো যারা সমাজের জন্য কাজ করবে, দেশের জন্য কাজ করবে। আমি যখন স্কুলে যাই বাচ্চারা যখন বলে-আবার কবে আসবেন? যখন এলাকা থেকে ফিরি তখন এলাকার মানুষ হাত ধরে জিগ্যেস করে, কবে আসবেন? এগুলো কত আনন্দের? যা লক্ষ কোটি টাকা দিয়ে কেনার নয়। এসব আমাকে বেশ টানে। এসবের মায়া কে ছাড়তে পারে? তবে ১/২ টা ফিল্ম হয়তো করবো, কলকাতার বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর একটা ফিল্মের ব্যাপারে আলাপ করা আছে। ওটা করবো। আরেকটা আছে শর্টফিল্ম। এরকম কাজ হয়ত করব টুকটাক।

নতুন ফেনী: ফেনী ৩ আসন থেকে অনেকগুলো প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে, যা অনেক চ্যালেঞ্জিং, কিভাবে নিচ্ছেন?
রোকেয়া প্রাচী: দেখুন, চ্যালেঞ্জ নেওয়াটাও সাহসিকতার কাজ। ফেনীর মানুষ যে চৌকস, ফেনীর মানুষ সবদিক থেকে ব্যতিক্রম, অসাধারণ, বুদ্ধিমান, এক্সটা অডিনারী, এটা ফেনীর মাটির গুণ, তাই এখান থেকে যারা নমিনেটেড হবেন তারাই সবাই অসাধারণ। সবাই যোগ্য। এটা আমার অনেক আনন্দের জায়গা, আমার ফেনীতে যারা আছেন আমি মনে করি সকলেই অসাধারণ। ফেনী হচ্ছে গর্বের শহর, ফেনী ১, ২, ও ৩ বলেন সবগুলোই আসনের আ’লীগের কর্মীরা অসাধারণ। কাজেই ফেনী থেকে যদি চ্যালেঞ্জিং লোকজন দাঁড়ায় এটাতো অনেক গর্বের বিষয়। আমি চ্যালেঞ্জটাকে উপভোগ করি। আজকে আমি দাড়িয়েছি বলে আরেকজন নৌকার যিনি দাঁড়িয়েছেন তাকে আমি অসম্মান করতে পারিনা। তিনি আমার আ’লীগের লোক তিনি আমাদেরই সৈনিক। বঙ্গবন্ধুর লোক। তিনি নি:সন্দেহে যোগ্য লোক। অযোগ্য লোক আ’লীগের কর্মী হতে পারেনা।

আর ইলেকশনা করাটা এটা গণতান্ত্রিক অধিকার। আমার চেয়ে কে যোগ্য কে অযোগ্য, তার বিচার আমি করব না। আমাদের নেত্রী আছেন, দল আছেন। তার পক্ষে কাজ করাটা সবার জন্য শিরোধার্য। তাই যারাই আ’লীগের হয়ে কাজ করতে আসবেন তারা আমার ভাই, আমার আ’লীগের ভাইরা অযোগ্য হতে পারে না। আমরা সবাই মিলে কিন্তু নৌকাকে জেতাব। ধরেন আমার ৫জন আলীগের জন্য কাজ করছি, যুদ্ধ করছেন, লড়াই করছেন, কে এগিয়ে আছেন, এগুলো পত্রিকা বা গণমাধ্যমের ভাষায় এগুলো হতে পারে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আমরা কারো বিরুদ্ধে লড়াই করছিনা। সবাই মিলে নৌকার জন্য কাজ করছি। বঙ্গবন্ধুর বিজয়ের জন্য কাজ করছি। শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে কাজ করছি।

নতুন ফেনী: সম্প্রতি আপনি মহিলা আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদকের পদ পেলেন। কিভাবে নিচ্ছেন?
রোকেয়া প্রাচী: আমি আগেও যেভাবে কাজ করছি এখন আরও বেশি কাজ করতে চাই দেশের জন্য, আমার এলাকার জন্য, মানুষের জন্য। যে সুযোগটা ঘটেছে আমি তা সঙ্গে নিয়ে আরও বেশি দায়িত্বের সঙ্গে কাজ করবো। নেত্রীর আস্থার প্রতিদানে চেষ্ঠা করে যাবো। দেশের পরিস্থিতি, রাজনৈতিক পরিস্থিতি যাই থাকুক, আমার ওপর যে দায়িত্ব, আমি তা পালন করে যাবো। সবাই মিলে মিশে যদি এক হয়ে কাজ করতে পারি তাহলে হয়ত আমরা আরো বেশি এগিয়ে যেতে পারব।

নতুন ফেনী: অভিনেত্রী হিসেবে কি সার্থক মনে হয়?
রোকেয়া প্রাচী: স্বার্থক কিনা তা আমার দেশের মানুষ বলবে, ভক্তরা বলবে। বিদেশেও আমার ভক্ত আছে তারা বলবে। অভিনয়ের জন্য আমি দেশি-বিদেশী এবং আন্তর্জাতিক অনেকগুলো পুরস্কার পেয়েছি। অভিনেত্রী হিসেবে স্বার্থক কিনা জানি না, আমি শুধু বলব যে, একজন অভিনয়শিল্পী হিসেবে আমি অনেক পেয়েছি। শিল্পীদের মধ্যে আমিই একমাত্র কানে গিয়েছি। অস্কারে আমার তিনটি ছবি গিয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে আমি তিনটি পুরস্কার পেয়েছি। ন্যাশনাল এ্যওয়ার্ড পেয়েছি। এবং দেশে যত সম্মানজনক পুরস্কার রয়েছে কোনটা বাদ নেই আমার। আমি অভিনয় শিল্পী হিসেবে যা পেয়েছি আমি আমার অবস্থান-বয়স সবকিছু মিলে আল্লাহ আমাকে যা দিয়েছেন তাঁর কাছে শুকরিয়া। আমার সমবয়সী, সমসাময়িক শিল্পীদের তুলনায় সম্মান ও স্নেহে অনেক বেশি পেয়েছি। তাই আমি আল্লাহর কাছে চিরকৃতজ্ঞ। হয়ত আরো পাওয়ার সুযোগ আছে বা পেতে পারি; যা পেয়েছি তাই অনেক।

নতুন ফেনী: এইযে শিল্পীরা অভিনয় করেন, অভিনয়টা আসলে কি-এটার মধ্য দিয়ে সমাজকে কি বার্তা দিতে চান?
রোকেয়া প্রাচী: অভিনয় আসলে জীবনের কথা বলে। আমি মানুষের জীবনটাকে বলছি, অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে একটা চরিত্রকে পর্দায় নিয়ে আসছি। সামাজিকভাবে কি বার্তা দেয়া সেটা যদি বলি আমি ‘তালিকা’ যে নাটকটি বানিয়েছি সারা বাংলাদেশের মানুষজন আমাকে ফোন করেছে। সরকারি পর্যায়ের মানুষজনও কিন্ত বলেছে এটা একটা সময়োপযোগী নাটক। এই যে একটা টেলিফিল্মের মাধ্যমে বোঝাতে চাইলাম-জামায়াত-বিএনপির লোক; যারা মুক্তিযুদ্ধ চায়নি তারা এখন মুক্তিযুদ্ধের নামধারী হয়ে গেছে। এবং এর ফলে আমরা জাতি হিসেবে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি-হচ্ছি। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ব্যহত হচ্ছে, এই যে আমার নাটকে এমন বড় একটি বক্তব্য উঠে এসছে। এটা সামাজিক পরিবর্তন এবং রাজনৈতিক জায়গায় অনেক বড় একটি বিষয় নয়? ফলে একজন নাট্যকার একজন নির্দেশক চাইলেও বড় একটি কাজ করতে পারে।

নতুন ফেনী: ফেনীতে সংস্কৃতি চর্চাটা কেমন হচ্ছে বলে মনে হয়? ফেনীর সংস্কৃতি উন্নয়নে কি ধরনের পরিকল্পনা আছে?
রোকেয়া প্রাচী: ফেনীতে আসলে যারাই সংস্কৃতিক কার্যক্রমের সাথে জড়িত সবার মধ্যে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে এবং ভীষণ চেষ্টা করেন এবং যে যতটুকু পারেন। সুযোগ হয়ত তেমন থাকেনা সীমাবদ্ধতা থাকে অনেক। সে কারণে হয়ত বেশি প্রকাশ্যে আসতে পারেনা। বেশি হাইলাইটেড হয়না। ফেনীতে অনেকের সাথে দেখা সাক্ষাৎ হয়েছে, দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে। আমি সবাইকে আশ্বস্থ করতে চাই যে আমরা দিক থেকে হান্ড্রেড পার্সেন্ট সহযোগিতা থাকবে। আমার যে সংগঠন রয়েছে “স্বপ সাজাই” এর মাধ্যমে ফেনীর সকল সাংস্কৃতিক কর্মীদের নিয়ে যে কোন পরিকল্পর জন্য আমি সর্বদাই পজিটিভ। ইতিমেধ্যে আমার অনেকের সাথে কথা হয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে সবাইকে আমার এই আহবান যে, সবাইকে মিলে আমাদের কাজ করতে হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে, প্রগতিশীল সাংস্কৃতি চর্চার পক্ষে। তাদের নিয়ে অনেক বেশি পরিকল্পনা রয়েছে। আমি আপনাকে আশ্বস্ত করতে চাই এবং আপনি দেখেন এই মুহুত্বে কোন সংগঠন আমাদের পাশে এসে বলুক আমি তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতার চেষ্টা করবো। যে কোন সংস্কৃতি চর্চার ক্ষেত্রে আমি পৃষ্টপোষকতা করতে রাজি আছি। আমার পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

নতুন ফেনী: নাট্যাচার্য ড. সেলিম আল দীন সোনাগাজীর কৃতি সন্তান, তাঁকে কিভাবে মুল্যায়ন করবেন? তাঁর স্মৃতি রক্ষার্থে সোনাগাজীতে কোনো পরিকল্পনা আছে কি?
রোকেয়া প্রাচী: স্যারের সাথে আমার খুবই ভালো সম্পর্ক রয়েছে। আমরা ‘নটনন্দন’ নামে থিয়েটার বিষয়ক যে পত্রিকাটি করতাম তা স্যারের নামেই বের হতো। আমরা যারা ঢাকাকেন্দ্রিক থিয়েটার করেছি আমরা অনেক বেশি স্যারের সান্নিধ্য পেয়েছি। আমি মনে করি যে, আমরা গর্বিত ড. সেলিম আল দীন আমাদের এলাকার। আমার অনেক পরিকল্পনা রয়েছে স্যারের স্মৃতি মুল্যায়ন করবার জন্য। আমি আপনাকে নিশ্চিত করতে পারি অচিরেই আপনি সেই পরিকল্পনাগুলোর একটা একটা করে বাস্তবায়ন দেখতে পাবেন। স্যারকে মুল্যায়ন করতে না পারাটা আমি মনে করি আমাদের ব্যার্থতা। আমাদের এখানে অনেক বড় বড় ব্যাক্তিরা রয়েছেন শহীদুল্লাহ কায়সার রয়েছেন, জহির রায়হান রয়েছেন, ভাষা শহীদ সালাম রয়েছেন, সকল কৃতিসন্তানের স্মৃতি রক্ষার্থে আমার বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে। এঁরা হচ্ছেন আমাদের মাথার মুকুট। এদের মুল্যায়ন করে আমাদের আগামী প্রজন্মকে আগাতে হবে। অনেক পরিকল্পনা রয়েছে এগুলো এখনি বলে দিতে চাইনা, একটু একটু করে বাস্তবায়িত হবে। আমি ভাষা শহীদ আবুল বারকাতকে নিয়ে ডকুমেন্টারী বানিয়েছি, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বানিয়েছি। তো সে হিসেবে মনে করি বড় ব্যাক্তিদের ধারণ করাটা আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।

নতুন ফেনী: অভিনয়ের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?
রোকেয়া প্রাচী: অভিনয়ের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বলতে আসলে তেমন কিছু না। আমি ভালো কাজ করতে চাই, ভালো কাজ করাটা আমার কাছে বড়। ভালো কাজ না হয়ে সেটা যতই বড় প্রোডাকশন হোক না কেন বা যত বেশি টাকাই হোক না কেন ভালো কাজ না হলে আমি অভিনয় করবনা। করিও নাই। আমি বছরে ১/২টি ছবির বেশি কাজ করিনা আমি তখনও বেছে বেছে কাজ করেছি এখনও বেছে বেছে কাজ করছি।

নতুন ফেনী: নারী উন্নয়নে আমরা কোন পর্যায়ে?
রোকেয়া প্রাচী: নারী উন্নয়নে বাংলাদেশ যে খুব এগিয়েছে এটা বলার অপেক্ষা রাখেনা। খুব উল্লোখযোগ্য অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একক প্রচেষ্ঠায় বাংলাদেশের নারীরা অনেক দুর এগিয়েছে। আমি মনে করি আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগ এর বিজয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ নারী উন্নয়নে আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে। নারী উন্নয়ন মানে বাংলাদেশের উন্নয়ন; প্রজন্মের উন্নয়ন। নারী আরো বেশি এগিয়ে আসবে যখন বাংলাদেশে আবার নৌকা ক্ষমতায় আসবে। নৌকায় ক্ষমতা আসার নৌকার জন্য নয়, দেশের জন্য প্রয়োজন।

আপনার মতামত দিন

Android App
Android App
Android App
© Natun Feni. All rights reserved. Design by: GS Tech Ltd.